বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০১ অপরাহ্ন
জিম্বাবুয়ে সিরিজ বাংলাদেশের দর্শকদের আগের মতো যে টানে না, সেটি গত জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজেই দেখা গেছে। বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ম্যাচ চলছে অথচ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারি শূন্য! ক্ষয়িষ্ণু শক্তির জিম্বাবুয়ের সঙ্গে লড়াইটা ঠিক জমে না কিংবা একপেশে-নিরুত্তাপ খেলা দেখার মানে কী—এসব ভাবনাতেই হয়তো দর্শকদের মধ্যে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে নিয়ে সেভাবে আর উন্মাদনা নেই। বাংলাদেশের দর্শকেরা ধরেই নেন, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতবে!
মানুষের এই ধারণার ইতিবাচক দিক যেমন আছে। আছে নেতিবাচক দিকও। নেতিবাচক দিকটা হচ্ছে ‘ভয়’। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জেতাটা যেন স্বাভাবিক ঘটনা। র্যাঙ্কিংয়ে ১১ নম্বরে থাকা দলের বিপক্ষে জিতলে কোনো পুরস্কার নেই। কিন্তু কিছুতেই হারা যাবে না! হারলেই সমালোচনার তিরে বিদ্ধ হতে হবে খেলোয়াড়দের। রুবেল হোসেনের ভয়টা এখানেই। ভাবনায় যদি শুধু জয়ই থাকে, সেখানে চলে আসে মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা। মনের বাঘ অনেক সময় এমন ভাবে থাবা দিয়ে বসে, অঘটনা ঘটতেও পারে। রুবেল তাই সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘জিম্বাবুয়ের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স দেখেন আর আমাদেরটা দেখেন। এখন কোনোভাবে যদি একটা অঘটন ঘটে যায় তাহলেই বিপদ। ওদের সঙ্গে আমাদের পারফরম্যান্সটা তাই খুব ভালো হতে হবে। যাতে কোনোভাবেই কোনো ম্যাচ আমাদের হাত ফসকে না যায়। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে খেলা মানেই এই চাপটা থাকবেই।’
চাপটা আরও বাড়বে, দলে যে সাকিব আল হাসান-তামিম ইকবাল নেই। তবে এই শূন্যতা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করছেন রুবেল, ‘সাকিব ভাই-তামিম ভাই আমাদের দলের সেরা খেলোয়াড়। সন্দেহ নেই আমরা তাঁদের মিস করব। কিন্তু আবার অন্য দিক দিয়ে দেখেন এটা একটা সুযোগও। আমাদের দলের বাকি যারা আছে, তারাও যে ম্যাচ জেতাতে পারে, সেটা প্রমাণের সুযোগ। আশা করি, এই সিরিজে তাঁরা দুজন না থাকায় কোনো সমস্যা হবে না।’
সমস্যা না হলেই ভালো। পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে জিম্বাবুয়ে চলে আসছে ১৬ অক্টোবর। বাংলাদেশ দলের অনুশীলন শুরু পরশু থেকে।